কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সর্বত্র। মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলররা রাত-দিন চালাচ্ছেন বিরামহীন প্রচারণা।
কুলাউড়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী চূড়ান্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ সলমান, বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ। কাউন্সিলর পদে ৯ ওয়ার্ডে ৩৮ জন প্রার্থী এবং কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত নারী আসনে ৮জন প্রার্থী সরগরম রেখেছেন নির্বাচনী মাঠ। দলীয় প্রার্থীদের নির্দিষ্ট প্রতীক থাকলেও স্বতন্ত্র মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক ছাড়াই ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে। কুলাউড়ায় জেকে বসেছে শীত কিন্তু সেই শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কুলাউড়া পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৭৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৩৮৭ জন এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ১৮৭ জন। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের চেয়ে প্রার্থীদের আগ্রহ বেশি। কুলাউড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর ৩ দফা নির্বাচনে প্রথম আওয়ামী লীগ এবং টানা দু’বার বিএনপির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হন। প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত আব্দুল মালিক। এরপর টানা দু’বার কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির (একাংশের) সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ মেয়র নির্বাচিত হন। টানা দু’বার বিএনপির মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় অনেকেই কুলাউড়া পৌরসভাকে বিএনপি দুর্গ মনে করেন। সেই বিএনপির দুর্গে এবার হানা দিতে মরিয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রার্থী হিসেবে কাদিপুর ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমানের বিজয়ের পথে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ। তবে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ নির্বাচনে থাকবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ দুই প্রার্থীর নির্বাচনী মাঠে তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন। আওয়ামী লীগের এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও জোর প্রচারনা চালাচ্ছেন।
সূত্র,